সিডনির কবি জোয়ানা বার্নসের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১০। গদ্যেও তাঁর মুক্ত বিচরণ। কবিতায় পারফরমেন্সের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। ২০০৫ এ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ফুটনোটস অফ আ হ্যামক জুডিথ রাইট পুরস্কারে সম্মানিত হয়। এখানে তার আন ইলাস্ট্রেটেড হিস্ট্রি অফ ডায়েরিজ (২০০৭) থেকে কয়েকটি কবিতা অনুবাদ করলাম।
ছেলেকাব্যি
বেরোলো
শিকারে
খুঁজে ধুলো
ছুঁয়ে ফেলো
নাম আমার
ট্রফির গায়ে
আমার নাম
ঐতিহ্য
না ঠিক
গারট্রুড নয়
নয় বুদ্ধ
খানাপিনা
নিজেই
ফেরৎ পাঠালো
নিজেকে
বাহনযোগ্য কবিতত্ত্ব
জলের বোতল
লিক করেছে
ব্যাগপ্যাকের ভেতর
একটা প্রজন্ম
কাঁদে -- কাঁদছে
অনুভব জানাশোনা
১. ভাঙ্গন
ভাবছ তুমি কোনো দিন
শেষ হবে না আর তারপর
একদিন হচ্ছে, আবার ফিরে
আসছে স্বস্তির মত, কিম্বা
আক্ষেপ হয়ে, তুমি বলছ
সেটা আবার কি
স্টেপলারে গোলযোগ থাকলে
একটা থেকে আরেকটা জিনিস
আলাদা করে ভাবা দুষ্কর হয়ে ওঠে
চুপকামী বায়ুকণার গন্ধ পাও
পরিচিত মাধুরীর থেকে পাওয়া
জন্ম-উপহার
২. পার্লার
যেই মুহূর্তে
বলে দিলে
বলা কথা
অর্থ রইলো না,
কিন্তু তাও
প্রলাপিয়া পংক্তির
মতো তোমার
মুখ খোলার ইচ্ছে
কখনো কোনো সিডেটিভ
নেয়নি, প্রজাপতির
আশায় আরেকটা
বার্থ সার্টিফিকেট
৩. যদি
দেখো এতে কি আসে যায়
ঝাঁটার তাকে পেন্সিল যেমন
আমাকে ঠিক ততটাই মানায়
যতটা কথার চারপাশে
তুমুল ধানাইপানাই
৪. কুঁড়ি
নামতে নামতে
হীরের গভীরে
এজেন্টের উপমায়
আঙ্গুলের জোড়ের
মতো ক্ষত -- অন্য কোনকিছুই
যন্ত্রণার মত চিকিয়ে উঠতে
পারে না